দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ MCQ, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ SAQ, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর PDF, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর 2022, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ এর বড় প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ ছোট প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর, ক্লাস টেনের বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণীর দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ।
Table of Contents
দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর MCQ
Bangla Shiksha : দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর। পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষায় 30 শতাংশের বেশি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ) থাকে। তোমরা যদি এই বিভাগে সম্পূর্ণ নম্বর তুলতে পারো, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নম্বর অনেকটা বেড়ে যায়। তাই তোমাদের সুবিদার্থে আমরা প্রতিটা গল্প, নাটক ও কবিতা থেকে বাছাই করে অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) এবং বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (MCQ) নিয়ে এসেছি।
দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ MCQ
1) ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়।’ —এই বাক্যটির কর্তাটি হল—
[A] প্রযোজ্য কর্তা
[B] সহযোগী কর্তা
[C] ব্যতিহার কর্তা
[D] সমধাতুজ কর্তা
2) ‘আমি ভাইকে সাইকেল দিলাম।’ —এই বাক্যের নিম্নরেখ পদ দুটি হল —
[A] যথাক্রমে মুখ্য কর্মকারক এবং গৌণ কর্মকারক -এর উদাহরণ।
[B] যথাক্রমে গৌণ কর্মকারক এবং মুখ্য কর্মকারক -এর উদাহরণ।
[C] দুটিই মুখ্য কর্মকারক-এর উদাহরণ।
[D] দুটিই গৌণ কর্মকারক -এর উদাহরণ।
3) গাড়ি স্টেশন ছাড়িল —এখানে কোন প্রকার অপাদান কারক হয়েছে?
[A] আধারবাচক
[B] অবস্থানবাচক
[C] কালবাচক
[D] তারতম্যবাচক
4) ‘বেলা যে পড়ে এল জলকে চল’ —এখানে ‘জলকে’
[A] কর্মকারকে ‘কে’ বিভক্তি
[B] নিমিত্ত কারকে ‘কে’ বিভক্তি
[C] অধিকরণ কারকে ‘কে’ বিভক্তি
[D] কোনোটিই নয়
5) নিঃশর্ত দান বোঝাতে ব্যবহৃত হয় —
[A] কর্মকারক
[B] সম্বন্ধপদ
[C] নিমিত্তকারক
[D] অপাদানকারক
6) অনুসর্গের দৃষ্টান্ত কোনটি?
[A] উপসর্গ
[B] পরাসর্গ
[C] পরসর্গ
[D] পরস্বর্গ
7) মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘন্টা —নিম্নরেখ পদটি কোন কারকের উদাহরণ?
[A] কর্তৃকারক
[B] করণকারক
[C] অপদানকারক
[D] অধিকরনকারক
8) ‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল’ —নিম্নরেখ পদটি কোন কারকের উদাহরণ?
[A] কর্মকারক
[B] করনকারক
[C] কর্তৃকারক
[D] অপাদানকারক
9) ‘নির্দেশক প্রধানত যে পদের সঙ্গে যুক্ত হয়’ —
[A] বিশেষ্য পদ
[B] সর্বনাম পদ
[C] ক্রিয়া পদ
[D] অব্যয় পদ
10) সম্বন্ধপদে মুখ্যত যে দুটি বিভক্তি ব্যবহৃত হয় – তারা হল —
[A] র, এর
[B] এ, এতে
[C] এর, তার
[D] গুলাগুলি
11) ব্যাসবাক্যের অপর নাম –
[A] সমাসবদ্ধ বাক্য
[B] বিগ্রহ বাক্য
[C] সমস্যমান বাক্য
[D] কোনোটিই নয়
12) পূর্বপদের অর্থ প্রধান হয় –
[A] দ্বিগু ও দ্বন্দ্ব সমাসে
[B] কর্মধারায় ও তৎপুরুষ সমাসে
[C] দ্বিগু ও তৎপুরুষ সমাসে
[D] দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব সমাসে
13) দ্বন্দ্ব সমাসে অর্থ প্রাধান্য পায় –
[A] পূর্ব পদের
[B] উভয় পদের
[C] পর পদের
[D] অন্য পদের
14) যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাকে বলে –
[A] উপমান
[B] উপমিত
[C] উপমা
[D] উপাদান
15) ‘দ্বিগু’ শব্দের সাধারণ অর্থ –
[A] দুই গুন
[B] দুটি গরু
[C] দুটি গোরুর সমষ্টি
[D] কোনোটো নয়
16) ‘উপনগরী’ —সমাসটি গড়ে উঠেছে –
[A] সাদৃশ্য অর্থে
[B] সামীপ্য অর্থে
[C] পশ্চাৎ অর্থে
[D] বীপ্সা অর্থে
17) পরপদটি প্রধান হয় যে সমাসে সেটি —
[A] অব্যয়ীভাব
[B] তৎপুরুষ
[C] দ্বিগু
[D] বহুব্রীহি
18) কফি ফুলের মতো = ফুলকপি — এটি কোন সমাসের উদাহরণ?
[A] উপমিত কর্মধারায়
[B] উপমান কর্মধারায়
[C] বহুব্রীহি
[D] কোনোটিই নয়
19) ‘ফেলাইলা কনক-বলয় দূরে’। —নিম্নরেখ পদটি যে সমাসের উদাহরণ তা হল —
[A] তৎপুরুষ
[B] অব্যয়ীভাব
[C] বহুব্রীহি
[D] মধ্যপদলোপী কর্মধারায়
20) রামদাস আর কোনো প্রশ্ন করিল না —নিম্নরেখ পদটি যে সমাসের উদাহরণ সেটি হল —
[A] তৎপুরুষ
[B] অব্যয়ীভাব
[C] কর্মধারায়
[D] দ্বিগু
21) বাক্যে অন্বয় অনুযায়ী পদগুলির যথাস্থানে সংস্থাপনকে বলে —
[A] আসত্তি
[B] যোগ্যতা
[C] আকাঙ্খা
[D] আসক্তি
22) সে সারাদিন খুব পরিশ্রম করে গভীর রাতে ফিরল —এই বাক্যের নিম্নরেখ অংশটি হল —
[A] উদ্দেশ্য
[B] বিধেয়
[C] উদ্দেশ্যের সম্প্রসারকে
[D] বিধেয়ের সম্প্রসারকে
23) পদবন্ধকে ইংরেজিতে বলে —
[A] Clause
[B] Adverb
[C] Adverbial phrase
[D] Phrase
24) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গীতাঞ্জলি’ লিখে নোবেল পুরস্কার পান —এই বাক্যের নিম্নরেখ অংশটি হল —
[A] উদ্দেশ্য
[B] উদ্দেশ্যের সম্প্রসারকে
[C] বিধেয়
[D] বিধেয়র সম্প্রসারকে
25) “আজকের দিনটা বেশ কাটলো।” —গঠনগত দিক থেকে বাক্যটি হল —
[A] সরল বাক্য
[B] জটিল বাক্য
[C] মিশ্র বাক্য
[D] যৌগিক বাক্য
26) সাপেক্ষ পদ ব্যবহৃত হয় —
[A] সরল বাক্যে
[B] জটিল বাক্যে
[C] যৌগিক বাক্যে
[D] মিশ্র বাক্যে
27) “আমি মহারাজ নই, আমি এই সৃষ্টির মধ্যে একশো ধূলি।” — এটি কোন শ্রেণীর বাক্য?
[A] সরল বাক্য
[B] যৌগিক বাক্য
[C] জটিল বাক্য
[D] মিশ্র বাক্য
28) ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে।’ এটি একটি —
[A] সন্দেহবাচক বাক্য
[B] ইচ্ছাসূচক বাক্য
[C] প্রার্থনাসূচক বাক্য
[D] আবেগসূচক বাক্য
29) হায়, তোমার এমন দশা কে করলে? এটি কী ধরনের বাক্য?
[A] অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
[B] বিস্ময়সূচক বাক্য
[C] নির্দেশক বাক্য
[D] প্রশ্নবোধক বাক্য
30) “বয়স, ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয়, কিন্তু ভারি রোগা দেখাইল” —এটি কোন শ্রেণীর বাক্য?
[A] সরল বাক্য
[B] জটিল বাক্য
[C] মিশ্র বাক্য
[D] যৌগিক বাক্য
31) ‘বাচ্য’ শব্দের অর্থ হল —
[A] বচন
[B] বিরুদ্ধ
[C] বক্তব্য
[D] বাচন ক্ষমতা
32) বাচ্য পরিবর্তন হলে –
[A] অর্থ পরিবর্তিত হয়
[B] অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে
[C] অর্থ পরিবর্তিত নাও হতে পারে
[D] অর্থ পরিবর্তিত হয় না
33) যে বাক্যে কর্ম কর্তারূপে প্রতীয়মান হয় তাকে বলে –
[A] কর্মবাচ্য
[B] কর্তৃবাচ্য
[C] ভাববাচ্য
[D] কর্মকর্তৃবাচ্য
34) বাঁশি বাজে -এটি একটি।
[A] ঘটক বা সম্পাদক কর্তৃবাচ্য
[B] অসম্পাদক কর্তৃবাচ্য
[C] লুপ্তকর্তা ভাববাচ্য
[D] গৌণ কর্মকর্তা ভাববাচ্য
35) যে বাচ্যে কর্ম কর্তার ভূমিকা পালন করে তাকে বলে —
[A] কর্মবাচ্য
[B] কর্তৃবাচ্য
[C] ব্যতিহার কর্তা
[D] সমধাতুজ কর্তা
36) ক্রিয়ার অর্থ প্রাধান্য পায় —
[A] কর্তৃবাচ্যে
[B] ভাববাচ্যে
[C] কর্মবাচ্যে
[D] কর্ম-কর্তৃবাচ্যে
37) ‘নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে’ —এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ —
[A] কর্মবাচ্য
[B] ভাববাচ্য
[C] কর্তৃবাচ্য
[D] কর্ম-কর্তৃবাচ্য
38) ‘জগদীশবাবু সিঁড়ি ধরে নেমে যান’ —বাক্যটির ভাববাচ্যের রূপ হল —
[A] জগদীশবাবুর সিঁড়ি ধরে নামা হয়
[B] জগদীশবাবুর দ্বারা সিঁড়ি ধরে নামা হয়
[C] জগদীশবাবু সিঁড়ি ধরে নামা হয়
[D] জগদীশবাবু সিঁড়ি ধরে নেমে আসেন
39) ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ — এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
[A] কর্তৃবাচ্য
[B] কর্মবাচ্য
[C] ভাববাচ্য
[D] কর্মকর্তৃবাচ্য
40) বিভিন্ন বাচ্যে কোনটি পৃথক হয়?
[A] কর্তার রূপ
[B] ক্রিয়ার রূপ
[C] অর্থের প্রকার
[D] ক্রিয়ার প্রকাশভঙ্গি
দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্ন উত্তর SAQ
প্রশ্নঃ তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সমস্ত বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয়, তাদের তির্যক বিভক্তি বলে। যেমন -এ, তে, এতে।
প্রশ্নঃ প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কর্তা অন্যের পরিচালনায় কাজ করে তাকে প্রযোজ্য কর্তা বা প্রকৃত কর্তা বলে। যেমন – সুচেতনা নীলাদ্রিকে অংক করাচ্ছে।
প্রশ্নঃ নিরপেক্ষ কর্তার উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ একটি বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা আলাদা আলাদা হলে অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে নিরপেক্ষ কর্তা বলে। উদাহরণ – নীলাদ্রি বললে সুচেতনা লিখে নেবে।
প্রশ্নঃ অকারক কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে অর্থসম্পর্কহীন পদকেই অকারক বা উপকারক বলা হয়। বাক্যে ব্যবহৃত যে পদ ক্রিয়াসম্পর্কিত নয় তারাই অ-কারক।
প্রশ্নঃ সম্বন্ধ পদ কাকে বলে?
উত্তরঃ বাক্যের পূর্ববর্তী বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে পরবর্তী বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সম্পর্ক থাকলেও ক্রিয়ার সঙ্গে কোনো অন্বয় নেই, সেই পূর্ববর্তী নামপদকে সম্বন্ধ পদ বলে।
প্রশ্নঃ সম্বন্ধপদ ও সম্বোধন পদের তুলনা করো।
উত্তরঃ সাদৃশ্যঃ সম্বন্ধপদ ও সম্বোধন পদ উভয়েই অ-কারক। বৈসাদৃশ্যঃ (১) সম্বন্ধপদ বাক্যের বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সঙ্গে অর্থসম্পর্কযুক্ত। সম্বোধন পদের সঙ্গে বাক্যের কোনো পদেরই অর্থযোগ নেই। (২)সম্বোধন পদ খাঁটি বাংলায় বিভক্তি-শূন্য, সম্বন্ধপদ বিভক্তিযুক্ত।
প্রশ্নঃ সম্বন্ধ পদ কারক নয় কেন?
উত্তরঃ কারকের ক্ষেত্রে বাক্যের ক্রিয়ার সঙ্গে অন্যান্য নামপদের সম্পর্ক থাকে। কিন্তু সম্বন্ধপদের ক্ষেত্রে বাক্যের ক্রিয়ার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকে না, তাই সম্বন্ধপদ কারক নয়।
প্রশ্নঃ “পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে।” (কারক ও বিভক্তি নির্নয় করো।)
উত্তরঃ পৃথিবী — কর্তৃকারক , শূন্য বিভক্তি।
প্রশ্নঃ শব্দবিভক্তির একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ শব্দবিভক্তির উদাহরণ —কে, রে (কবিতার ক্ষেত্রে), তে (এতে) ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ কহ দাসে লঙ্কার কুশল। (কারক ও বিভক্তি নির্নয় করো।)
উত্তরঃ কুশল — কার্মকারক ‘শূন্য’ বিভক্তি।
প্রশ্নঃ বিগ্রহ বাক্য বা ব্যাসবাক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাক্যে বা বাক্যাংশের মাধ্যমে সমাসবদ্ধ পদকে বিশ্লেষণ করে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাকে বিগ্রহ বাক্য বা ব্যাসবাক্য বলে।
প্রশ্নঃ একশেষ দ্বন্দ্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ যে দ্বন্দ্ব সমাসের সমস্যমান পদগুলি সর্বনাম পদ এবং সমস্তপদটি বহুবচনান্ত সর্বনাম পদ, তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব বলে। যেমন – তুমি ও তারা
প্রশ্নঃ উপমান ও উপমিত কর্মধারায় সমাসের একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ উপমান কর্মধারায় সমাসের পূর্বপদে ‘উপমান’ এবং পরপদে থাকে গুন প্রকাশক সাধারণ ধর্ম।
অন্যদিকে, উপমিত কর্মধারায় সমাসের পূর্বপদ সাধারণত ‘উপমেয়’ এবং পরপদ ‘উপমান’ হয়।
প্রশ্নঃ ‘শশ অঙ্কে যার’ —ব্যাসবাক্যটিকে সমাসবদ্ধ করে তার শ্রেণীনির্ণয় করো।
উত্তরঃ শশ অঙ্কে যার – শশাঙ্ক (সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস)।
প্রশ্নঃ অলোপ বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ অলোপ বহুব্রীহি সমাসের দুটি উদাহরণ নিম্নে –
- গায়ে হলুদ – গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে।
- মুখেভাত – মুখে প্রথম ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে।
প্রশ্নঃ ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখো : অনুগমন।
উত্তরঃ অনুগমন – গমনের পশ্চাৎ (পশ্চাৎ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস)
প্রশ্নঃ গৌর অঙ্গ যাহার – ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে সমাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ গৌরাঙ্গ – সাধারণ বহুব্রীহি সমাস।
প্রশ্নঃ ‘বহুরূপী’ —শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম করো।
উত্তরঃ বহুরূপী – বহু রূপ ধারণ করে যে। (সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস।)
প্রশ্নঃ অব্যয়ীভাব সমাসের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ মিলের অভাব – গরমিল (অভাব অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস।)
প্রশ্নঃ বাক্য নির্মাণের শর্তগুলি কী কী?
উত্তরঃ বাক্য নির্মাণের তিনটি শর্ত বর্তমান, যথা — ১. যোগ্যতা, ২. আকাঙ্খা ৩. আসক্তি।
প্রশ্নঃ যোগ্যতা কাকে বলে?
উত্তরঃ পদসমষ্টি উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি ভাবপ্রকাশে কোনোপ্রকার বাধা না থাকে, তবে একে যোগ্যতা বলে।
প্রশ্নঃ “সূর্য পশ্চিমদিকে উদিত হয়” —বাক্য নির্মাণের কোন শর্ত এখানে লঙ্ঘিত হয়েছে?
উত্তরঃ বাক্যনির্মানের যোগ্যতা শর্তটি প্রদত্ত উদাহরনে লঙ্ঘিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ বিশেষণ ও বিশেষ্যযোগ্য একটি বিশেষয়খন্ড তৈরী করে বাক্যে ব্যবহার করো।
উত্তরঃ লম্বা, বেটে, রোগা, মোটা সাতটা লোকে কাজটা উদ্ধার করল।
প্রশ্নঃ “ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল” —(উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ চিহ্নিত করো)।
উত্তরঃ উদ্দেশ্য — ওরা
বিধেয় — ভয়ে কাঠ হয়ে গেল।
প্রশ্নঃ নির্দেশক বাক্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ নির্দেশক বাক্যের উদাহরণ — সুচেতনা ভালো কাজ করেছে। আলোচ্য বাক্যে কোনো কিছুকে স্বীকার করা হয়েছে তাই এটি নির্দেশক বাক্য।
প্রশ্নঃ তিনি যদিও ধনী, তথাপি অহংকারী নন। — সরল বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তরঃ তিনি ধনী হলেও অহংকারী নন।
প্রশ্নঃ ‘কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।’ — জটিল বাক্যে পরিনিত করো।
উত্তরঃ তাদের কাছে আজ যা অস্পৃশ্য তা হল কলম।
প্রশ্নঃ “বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে।” —সরল বাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ বাবুটির স্বাস্থ্য গেলেও শখ ষোলোআনাই বজায় আছে।
প্রশ্নঃ আর কোনো ভয় নেই। — প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তরঃ আর কি ভয় আছে?
প্রশ্নঃ বাচ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বাক্যের সমাপিকা ক্রিয়া, কর্তা ও কর্মের সম্পর্ক ঠিক কিভাবে ঘটেছে, বাক্যের যে লক্ষণ বা প্রকাশভঙ্গি থেকে জানা যায়, তাকেই বাচায় বলে।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষায় বাচ্য কত প্রকার এবং কী কী?
উত্তরঃ বাংলা ভাষায় বাচ্য চার প্রকার। যথা – কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, ভাববাচ্য ও কর্মকর্তৃবাচ্য।
প্রশ্নঃ কর্মকর্তৃবাচ্য কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাচ্যে কর্তা অনুপস্থিতি থাকে এবং কর্মই কর্তারূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
প্রশ্নঃ ‘নদীর ধারে তার জন্ম হইয়াছে।’ —কর্তৃবাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ সে নদীর ধারে জন্মাইছে।
প্রশ্নঃ বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো। —কর্মবাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ বুড়ো মানুষের কথাটা শোনা হোক।